SSC বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ১২ অধ্যায় সৃজনশীল

এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের জন্য এডুকিউ ইতোমধ্যেই পূর্ণাঙ্গ সাজেশন প্রকাশ করেছে। আজ আমরা সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য SSC বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ১২ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর “সামরিক শাসন ও স্বাধিকার  আন্দোলন” অধ্যায় শেয়ার করতে চলেছি। এই পোস্টে তোমরা তোমাদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষায় কমন উপযোগী সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর সম্পর্কে জানতে পারবে।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা লক্ষ করলে দেখবে আমাদের এখানে কেবলমাত্র সৃজনশীল প্রশ্নগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এবং উত্তর PDF এর মাধ্যমে নিচের দিকে উল্লেখিত রয়েছে। তোমরা এডুকিউ থেকে সবগুলো ফাইল একসাথে ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে। নিজে উল্লেখিত সকল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করার জন্য এই আর্টিকেল এর সর্বশেষ দিকটি ফলো করো।

১নং প্রশ্নঃ রফিক একটি চলচ্চিত্র দেখছিল। ছবিতে একটি অঞ্চলের জনগণের সংগ্রামের ঘটনা দেখাচ্ছিল। ঐ অঞ্চলের জনগণের সাহস, বুদ্ধি ও সম্পদ থাকা সত্ত্বেও সরকারের একপেশে নীতির কারণে সংসদে তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই। তারা চাকরি, শিক্ষা ও অর্থনীতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত। তাদের বঞ্চনা ও শোষণের হাত থেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন এক আপোসহীন নেতা। তিনি জনগণের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক পরিচালনার ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক, সর্বজনীন ভোটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক আইনসভা গঠন, রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা ইত্যাদি উক্ত অঞ্চলের হাতে দেওয়ার দাবি জানান।

ক. কার মধ্যস্থতায় তাসখন্দ শহরে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়?
খ. মতিউর হত্যার প্রেক্ষাপট কী ছিল?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত নেতার দাবিনামায় বঙ্গবন্ধুর কোন কর্মসূচির প্রতিফলন ঘটেছে- ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর উক্ত দাবিনামা বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল? যুক্তি দাও।

২নং প্রশ্নঃ বেলুচিস্তানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি মীর গুল খান নাসির। তিনি একটি নিবন্ধে পাকিস্তান আমলের বাংলাদেশের একটি শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে লিখেছিলেন। ওই শাসনব্যবস্থার ফলে পাকিস্তানের শাসন ও রাজনৈতিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। এটি ছিল চার। স্তরবিশিষ্ট এমন এক ধরনের সীমিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, যাতে কেবল নির্দিষ্ট সংখ্যক লোকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার অধিকার ছিল।

ক. সোহরাওয়ার্দী কত সালে মারা যান?
খ. ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন সম্পর্কে লেখো।
গ. উদ্দীপকের কবি মীর গুল যে শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে বলেছেন তা পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত শাসনব্যবস্থায় জনগণের তেমন কোনো দায়িত্বই ছিল না- তুমি কি এ বক্তব্যের সাথে একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৩নং প্রশ্নঃ মিতালী লিউকেমিয়া রোগে আক্রান্ত। মিতালীর জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন’ স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা তাকে আর্থিক সাহায্য করার জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীতে একটি ভারতীয় হিন্দি ছবি দেখানো হয়। ছবিতে দেখা যায়, আমাদের পার্শ্ববর্তী দুইটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। একটি দেশ যখন যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয়ের মুখে পড়ে, তখন বাঙালি সেনারা অসীম সাহসের সাথে যুদ্ধ করে তাদেরকে রক্ষা করে। সপ্তাহ দুই যুদ্ধের পর সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ঐতিহাসিক চলচ্চিত্রটি দেখে সকলে মুগ্ধ হয়।

ক. মৌলিক গণতন্ত্র কয় স্তরবিশিষ্ট ছিল?
খ. পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের কৃত সাংস্কৃতিক বৈষম্য সম্পর্কে লেখো।
গ. উদ্দীপকের চলচ্চিত্রটি কোন যুদ্ধের ইঙ্গিত বহন করে? পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর, উক্ত যুদ্ধের ফলে পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুববিরোধী চেতনা প্রবলভাবে জাগ্রত হয়? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৪নং প্রশ্নঃ ১৯৬৬ সালে একজন বীর নেতা একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচিটি ছিল ঐ দেশের জনগণের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ও শোষণ থেকে মুক্তি লাভের উপায়, মুক্তির সনদ এবং জাতীয়তাবাদের মূর্ত প্রতীক।

ক. মৌলিক গণতন্ত্র কী?
খ. আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শক্তি ছিল ‘বাষট্টির শিক্ষা। আন্দোলন’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত কর্মসূচির সাথে পাকিস্তানি শাসনামলের কোন ঘটনার মিল পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত কর্মসূচি ছিল বীর বাঙালির মুক্তির সনদ বিশ্লেষণ করো।

৫নং প্রশ্নঃ ‘ক’ দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা তাদের দেশের অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও নিজ দলের অন্যান্য নেতাদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়ে সেদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেন। ‘ক’ দেশটির সরকার বিষয়টি জানতে পারে এবং বিরোধী দলের নেতাকে প্রধান আসামি করে মামলা করে গ্রেফতার করে। কিন্তু গণআন্দোলনের ফলে সরকার মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।

ক. COP-এর পূর্ণরূপ লেখ।
খ. মৌলিক গণতন্ত্রের কাঠামো ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত মামলার সাথে পাকিস্তানি শাসনামলের কোন ঘটনাটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের জনগণের আন্দোলন যেন ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রতিচ্ছবি – বিশ্লেষণ করো।

৬নং প্রশ্নঃ দৃশ্য-১: একটি দেশের সামরিক শাসক নতুন সংবিধানের ঘোষণা দিলে দেশটির পূর্বাংশের ছাত্র সমাজ বিক্ষোভ সমাবেশ ও ক্লাস বর্জন করে। ছাত্রদের সংবিধান বিরোধী এ আন্দোলনে বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সমর্থন ব্যক্ত করেন। ফলে শাসকশ্রেণি ছাত্রদের ওপর কঠোর দমন নীতি প্রয়োগ করে।

দৃশ্য-২: একটি দেশ দুটি অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। একটি উত্তরাঞ্চল ও অপরটি দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু উন্নয়ন হতো উত্তরাঞ্চলে এবং দক্ষিণাঞ্চল ছিল অবহেলিত। এমনকি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিমা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর ছিল উত্তরাঞ্চলে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলে কোনো ধরনের শিল্প, কারখানা গড়ে ওঠেনি।

ক. DAC কী?
খ. মৌলিক গণতন্ত্রের কাঠামো কেমন ছিল? ব্যাখ্যা করো।
গ. দৃশ্য-১-এ ছাত্রদের বিক্ষোভে কোন আন্দোলনের প্রতিফলন ঘটেছে?
ঘ. দৃশ্য-২-এ দক্ষিণাঞ্চলের বৈষম্যের সাথে পাকিস্তানি শাসনামলে যে বৈষম্যের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে তা বিশ্লেষণ করো।

৭নং প্রশ্নঃ আফজাল খা একটি দেশে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে সংবিধান বাতিল করেন, কেন্দ্রীয় প্রাদেশিক আইন পরিষদ ভেঙে দেন এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এক সময় তার নিয়োগকৃত প্রধান সামরিক কর্মকর্তা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে এক ধরনের গণতন্ত্র প্রবর্তন করেন।

ক. মৌলিক গণতন্ত্র কী?
খ. ছয় দফাকে বাঙালির ‘মুক্তির সনদ’ বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে যে সামরিক শাসকের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত গণতন্ত্রের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের যে গণতন্ত্রের মিল পাওয়া যায় তার বিস্তারিত বর্ণনা দাও।

৮নং প্রশ্নঃ দুইটি প্রদেশ নিয়ে একটি রাষ্ট্র গঠিত। ‘ক’ প্রদেশের জনগণ ‘খ’ প্রদেশের শাসকদের দ্বারা শোষিত ও বঞ্চিত হয়। এইভাবে বঞ্চনার ফলে একসময় ‘ক’ প্রদেশের জনগণকে নিয়ে তাদের শীর্ষ নেতা বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে কয়েকটি দাবি পেশ করেন। একটি সম্মেলনে দাবিগুলো প্রত্যাখ্যাত হলে উক্ত নেতা সম্মেলন বর্জন করেন।

ক. আগরতলা মামলা কী?
খ. ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান কেন হয়েছিল?
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত দাবিগুলো ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত দাবিগুলোই ছিল ‘বাঙালির মুক্তির দাবি’– বিশ্লেষণ করো।

৯নং প্রশ্নঃ একটি রাষ্ট্রে দুইটি প্রদেশ দুই ভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে গড়ে ওঠে। একটি প্রদেশের আয়তন বেশি, ভূমি অনুর্বর ও জনসংখ্যা কম। অন্য প্রদেশের আয়তন কম, ভূমি উর্বর ও জনসংখ্যা বেশি। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বড় আয়তনের প্রদেশের নেতৃবর্গ। শাসকের সদিচ্ছার অভাবে ছোট আয়তনের প্রদেশটির জনগণ নানা বৈষম্যের শিকার হয়। এমতাবস্থায় বঞ্চিত প্রদেশের একজন নেতার উদ্যোগে জনগণ আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন থামাতে শাসক কঠোরতম পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এতে বেশকিছু প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।

ক. মৌলিক গণতন্ত্র কী?
খ. ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ দায়ের করা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত দুই প্রদেশের বৈষম্যের সাথে তোমার পাঠ্যপুস্তকে – বর্ণিত কোন বিষয়ের সামঞ্জস্য রয়েছে? বর্ণনা করো।
ঘ. বৈষম্য নিরসনে গণআন্দোলনের ফলাফল ছিল মারাত্মক’- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।

১০নং প্রশ্নঃ তালহার দাদা রাজশাহীতে ছেলের বাসায় বেড়াতে এসেছেন বিকেলে তালহাকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে হাঁটতে যান শহীদ শামসুজ্জোহা হল দেখে দাদা বললেন, তুমি কি এই ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা সম্পর্কে জানো? তালহা উত্তর দিতে না পারায় দাদা বললেন, তিনি একটি আন্দোলন করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর বেয়োনেট চার্জে নিহত হন। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

ক. ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন কে?
খ. শিক্ষাক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের বৈষম্য লেখো।
গ. উদ্দীপকের তালহার দাদা কোন আন্দোলনের কথা বলেছেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত আন্দোলন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের উন্মেষ ঘটাতে সহায়তা করেছিল- বিশ্লেষণ করো।

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের সবগুলো অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন আমরা তুলে ধরব। প্রত্যেক অধ্যায় থেকে ১০ টি করে সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর আমরা তুলে ধরব, তোমরা এখান থেকে সংগ্রহ করে নিবে। আজকে আমরা SSC বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ১২ অধ্যায় তুলে ধরেছি। উপরে লক্ষ্য করলে তোমরা ১০টি সৃজনশীল প্রশ্ন দেখতে পাবে, তোমরা এগুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারো।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। আমাদের ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment