এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের জন্য এডুকিউ ইতোমধ্যেই পূর্ণাঙ্গ সাজেশন প্রকাশ করেছে। আজ আমরা সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য SSC বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ৬ষ্ঠ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর “মধ্যযুগের বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস ” অধ্যায় শেয়ার করতে চলেছি। এই পোস্টে তোমরা তোমাদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষায় কমন উপযোগী সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর সম্পর্কে জানতে পারবে।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা লক্ষ করলে দেখবে আমাদের এখানে কেবলমাত্র সৃজনশীল প্রশ্নগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এবং উত্তর PDF এর মাধ্যমে নিচের দিকে উল্লেখিত রয়েছে। তোমরা এডুকিউ থেকে সবগুলো ফাইল একসাথে ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে। নিজে উল্লেখিত সকল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করার জন্য এই আর্টিকেল এর সর্বশেষ দিকটি ফলো করো।
১নং প্রশ্নঃ টেলিভিশনে প্রাচীন রোমান যোদ্ধাদের যুদ্ধের ছবি দেখছিল। সোহেল। সে দেখল যুদ্ধের কৌশল হিসেবে একটি দলের সেনাপতি। তার যোদ্ধাকে বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত করে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। সেনাপতি এ সকল যোদ্ধাদের জঙ্গলপথে অতি সংগোপনে। নিজেদের আড়াল করে বিপক্ষ দলের প্রাসাদে আক্রমণ চালিয়ে প্রাসাদ দখল করে নেয়।
ক. রাজা গণেশ দিনাজপুরের কোন অঞ্চলের রাজা ছিলেন?
খ. ইলিয়াস শাহকে ইতিহাসে প্রথম বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে বিজয়ী সেনাপতির যুদ্ধকৌশলের প্রতিফলন পাঠ্যবইয়ের কোন ব্যক্তির কর্মে প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর উক্ত ব্যক্তি প্রথম জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলেও ভাগ্য ও কর্মশক্তির সংমিশ্রণ তাকে সফলতা এনে দেয়? যুক্তি দাও।
২নং প্রশ্নঃ পাহাড়ি অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকা হিমছড়ি। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজসাধ্য না হওয়ায় সেখানকার উৎপাদিত পণ্য সময়মতো বাজারজাত করা কষ্টসাধ্য। পাহাড়ের ঢালু জমিতে প্রচুর কলা উৎপন্ন হওয়ায় সেগুলো সময়মতো বাজারজাত করা সম্ভব হয়নি। একেবারেই স্বল্পমূল্যে কলা বিক্রি হওয়া দেখে স্কুলপড়ুয়া দুর্জয় বড়ুয়া তার মাকে বলল – এ তো দেখি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।
ক. বাংলায় মুসলমান শাসকদের মধ্যে কে নৌবাহিনীর গোড়াপত্তন করেন?
খ. বাংলাকে ‘বুলগাকপুর’ বলা হয়েছিল কেন?
গ. বাংলার কোন শাসকের কথা দুর্জয়ের মনে পড়ে যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত শাসকের শাসনকালকে স্থাপত্য শিল্পের স্বর্ণযুগ বলাকে যৌক্তিক মনে কর কি?
৩নং প্রশ্নঃ গিয়াসউদ্দিন ইওরা খলজির সঙ্গে দিল্লির সুলতান ইলতুৎমিশের বিরোধের কারণ চিহ্নিত করার জন্য শ্রেণিশিক্ষক একদল ছাত্রকে নির্দেশ দিলেন। ছাত্রদল যেসব কারণ চিহ্নিত করল তা নিম্নরূপ:
- i. গিয়াসউদ্দিন ইওয়া খলজির অধীনে লখনৌতিতে মুসলমান রাজ্যের প্রতিপত্তি বিস্তার।
- ii. ইওজ খলজির পুনরায় স্বাধীনতা ঘোষণা।
- iii. ইলতুৎমিশের জাহাজ ইওজ খলজির লোকজন কর্তৃক ছিনতাই।
- iv. ইলতুৎমিশকে চাঁদা না দেয়া।
- v. ইওজ খলজির পূর্ববঙ্গের আক্রমণ সিদ্ধান্ত।
ক. বাংলায় মুসলিম শাসনের সূচনা করেন কে?
খ. গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজি নৌবাহিনী গড়ে তুলেছিলেন কেন?
গ. গিয়াসউদ্দিন ইওজ খলজির সাথে দিল্লির সুলতান ইলতুৎমিশের বিরোধের কারণ চিহ্নিত করতে গিয়ে ছাত্ররা কী ভুল করেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ইওজ খলজির পূর্ববঙ্গ আক্রমণের সিদ্ধান্ত কি সঠিক ছিল বলে তুমি মনে কর? মতামত দাও।
৪নং প্রশ্নঃ শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে রুকনউদ্দিন বরবক শাহের শাসনামল নিয়ে আলোচনা করছিলেন। আলোচনা শেষে এ শাসকের কোন পদক্ষেপগুলো রাজ্যের জন্য হিতকর ছিল তা ছকের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের উপস্থাপন করতে বলেন। হাসির নিচের খাতায় লিখে শিক্ষককে দেখায়।
ক. বাংলায় মধ্যযুগের অবসান ঘটে কখন?
খ. আলিবর্দি খান কীভাবে বাংলায় শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন?
গ. হাসিব সুলতান রুকনউদ্দিন বরবকের রাজ্য বিস্তারের যে বিষয়টি তুলে ধরেছে পাঠ্যবইয়ের আলোকে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. হাসিবের উল্লেখিত শিক্ষা, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের ক্ষেত্রে সুলতান রুকনউদ্দিন বরবক শাহের পদক্ষেপগুলো বিশ্লেষণ করো।
৫নং প্রশ্নঃ চৌধুরী বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন কবির। তিনি রাজ্যের অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা দূর করে তার বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এবং রাজ্যের সীমানা বৃদ্ধি করেন। নিজ ধর্ম ও সুফি সাধকদের প্রতি তার আস্থার পাশাপাশি তিনি অন্য ধর্মেরও পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তিনি দীর্ঘ ২৬ বছর শাসন করেন। উদার ও ধর্ম নিরপেক্ষ মনোভাবের কারণে তার শাসনামলে বৈষ্ণব ধর্মমতের প্রবর্তন হয়।
ক. বাংলার কোন সুলতানের সাথে পারস্যের কবি হাফিজের পত্রালাপ হতো?
খ. রাজা গণেশ কীভাবে বাংলার ক্ষমতা দখল করেন?
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত শাসক কবির তোমার পাঠ্যপুস্তকের কোন শাসকের প্রতিচ্ছবি? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘বাংলা সাহিত্যের উন্নতি ও বিকাশে উক্ত শাসকের অবদান অনস্বীকার্য’– বিশ্লেষণ করো।
৬নং প্রশ্নঃ সরোয়ার তার বন্ধু তপনের দেশে গিয়ে লক্ষ করল, বন্ধুর দেশের কিছু জমিদারগণ কেন্দ্রের অধীনতা মেনে না নিয়ে স্বাধীনভাবে জমিদারি পরিচালনা করছেন। এ সকল স্বাধীন জমিদারগণ কেন্দ্রের সাথে কোনো সংঘর্ষ বাঁধলে তাদের শক্তিশালী সৈন্য ও নৌবহর নিয়ে একজোট হয়ে মোকাবিলা করে। এই জমিদারগণকে স্বাধীনতা রক্ষার জন্য অনেক সংগ্রাম করতে দেখা যায়।
ক. বুলগাকপুর অর্থ কী?
খ. বাংলা সাহিত্যের উন্নতি ও বিকাশে হুসেন শাহের ভূমিকা কী ছিল?
গ. তপনের দেশের স্বাধীন জমিদারদের সাথে মধ্যযুগের বাংলার কোন জমিদারদের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত জমিদারদের কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করো।
৭নং প্রশ্নঃ আলেকজান্ডার খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৬ অব্দের মে মাসে ঝিলাম নদীর তীরে শিবির ফেললেন। বর্ষা আরম্ভ হলে সিন্ধু নদী পানিতে পরিপূর্ণ হলে সুযোগ বুঝে রাতের অন্ধকারে অরণ্য সমকীর্ণ একটি দ্বীপের উপর দিয়ে নদী অতিক্রম করে হঠাৎ পুরুর শিবির আক্রমণ করেন। অন্যদিকে চীনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট তাই সুং ৬২৭ খ্রিঃ সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ৬৫০ খ্রিঃ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। শিক্ষায় উৎসাহ প্রদান করেন। খাল খনন ও যুদ্ধবন্দীদের পুনর্বাসন করে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে উৎসাহ প্রদান করেন এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেন। যা তখনকার সময়ে সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়।
ক. ইলিয়াস শাহ-এর একটি উপাধির নাম লেখো।
খ. বারোভূঁইয়াদের কীভাবে দমন করা হয়? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের প্রথমাংশের সাথে মধ্যযুগের ইতিহাসের কোন ঘটনার মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর, উদ্দীপকের শেষাংশে শ্রেষ্ঠ খলজি শাসকের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে? যুক্তিসহকারে তোমার মতামত তুলে ধরো।
৮নং প্রশ্নঃ প্রাচীন বাংলার মুসলমান সুলতানদের রাজধানী ছিল সোনারগাঁ। সে সময় সুতা ব্যবসায়ের কেন্দ্র হিসেবে পানাম নগর গড়ে উঠে। পানাম নগরের নিরাপত্তার জন্য নগরের চারিদিকে পরিখা খনন করা হয়। এর ফলে পানাম নগরের নিরাপত্তা যেমন নিশ্চিত হয়, তেমনি ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবেও সুপরিচিতি লাভ করে। সুলতানগণ এলাকার উন্নয়নে রাস্তা-ঘাট, পুল, কালভার্ট ইত্যাদি নির্মাণ করেন।
ক. সুবা কী?
খ. বারোভূঁইয়া বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
গ. পানাম নগরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন তুর্কি শাসকের কর্মকাণ্ডের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত শাসকই ছিলেন খলজি মালিকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
৯নং প্রশ্নঃ জামাল সাহেব সুবিদপুর উপজেলার একজন দক্ষ চেয়ারম্যান ছিলেন। তার এলাকায় বিভিন্ন ধর্মের লোকের বসবাস ছিল। তিনি তার উদার চিন্তা প্রয়োগ করে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করেন। এর ফলে সকল ধর্মের লোকদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি তৈরি হয়। তিনি তার এলাকায় তরুণ লেখকদের সাহিত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন এবং বিজয়ীদের পুরষ্কার প্রদান করেন। এর ফলে সাহিত্য চর্চা গতিশীল হয়।
ক. খলজি মালিকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন কে?
খ. ইলিয়াস শাহ ‘শাহ-ই-বাঙ্গালা’ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন কেন?
গ. উদ্দীপকে জামাল সাহেব মধ্যযুগে বাংলার কোন শাসকের প্রতিচ্ছবি? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত শাসকের শাসনকালকে বঙ্গের মুসলমান শাসনের ইতিহাসে ‘স্বর্ণযুগ’ বলা হয়- বিশ্লেষণ করো।
১০নং প্রশ্নঃ লক্ষ্মীচর অঞ্চলের কৃষকেরা কৃত্রিম সার ব্যবহার করে না। নিজেদের উৎপাদিত জৈব সার ব্যবহার করে অল্প খরচে ফসল উৎপাদন করে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় বাজারে উৎপাদিত ফসলের মূল্যও কম। ফলে এলাকার জনগণ সচ্ছলতার মাঝে জীবনযাপন করে।
ক. মুঘল আমলে প্রদেশগুলো কী নামে পরিচিত ছিল?
খ. সুবাদার ইসলাম খান রাজমহল থেকে রাজধানী কেন ঢাকায় স্থানান্তর করেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. লক্ষ্মীচর অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা কোন মুঘল সুবাদারের শাসনামলের অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. স্থাপত্য শিল্পের বিকাশে উক্ত শাসকের শাসনামলকে মুঘল আমলের ‘স্বর্ণযুগ’ বলা হয়- বিশ্লেষণ করো।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের সবগুলো অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন আমরা তুলে ধরব। প্রত্যেক অধ্যায় থেকে ১০ টি করে সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর আমরা তুলে ধরব, তোমরা এখান থেকে সংগ্রহ করে নিবে। আজকে আমরা বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ৬ষ্ঠ অধ্যায় তুলে ধরেছি। উপরে লক্ষ্য করলে তোমরা ১০টি সৃজনশীল প্রশ্ন দেখতে পাবে, তোমরা এগুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারো।