SSC বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ৪র্থ অধ্যায় সৃজনশীল

এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের জন্য এডুকিউ ইতোমধ্যেই পূর্ণাঙ্গ সাজেশন প্রকাশ করেছে। আজ আমরা সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য SSC বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ৪র্থ অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর “প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস” অধ্যায় শেয়ার করতে চলেছি। এই পোস্টে তোমরা তোমাদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষায় কমন উপযোগী সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর সম্পর্কে জানতে পারবে।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা লক্ষ করলে দেখবে আমাদের এখানে কেবলমাত্র সৃজনশীল প্রশ্নগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এবং উত্তর PDF এর মাধ্যমে নিচের দিকে উল্লেখিত রয়েছে। তোমরা এডুকিউ থেকে সবগুলো ফাইল একসাথে ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে। নিজে উল্লেখিত সকল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করার জন্য এই আর্টিকেল এর সর্বশেষ দিকটি ফলো করো।

১নং প্রশ্নঃ অজয় তার পরিবারের পুরাতন নিবাস ত্যাগ করে নবীনগরে। নতুনভাবে বসবাস শুরু করেন। কালক্রমে তিনি নবীনগরের শাসন ক্ষমতার অধিকারী হন। এলাকার উন্নয়নের জন্য তিনি বহুবিধ কার্যসম্পাদন করেন। এছাড়া তার পরবর্তী বংশধরেরাও শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখেন। তাঁর এলাকায় বসবাসরত বিভিন্ন ধর্মের লোকজন বৈষম্যের শিকার হতেন।

ক. খড়গ বংশের রাজধানী কোথায় ছিল?
খ. সেনদের ‘ব্রহ্মক্ষত্রিয়’ বলা হয় কেন?
গ. নবীনগরের শাসক অজয়ের কর্মকাণ্ডে কোন সেন শাসকের কর্মকাণ্ডের প্রতিফলন লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর উক্ত শাসকের বংশধরেরা শিক্ষা ও সাহিত্য বিকাশে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।

২নং প্রশ্নঃ রামনগর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন বড়ুয়া তার এলাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়। তার এলাকার বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের সুবিধার বিষয়ে তিনি মনোযোগী হন। তিনি তার পৌরসভায় শান্তিশৃঙ্খলা স্থাপনেও সমর্থ হন। ফলে তিনি দীর্ঘদিন পৌরশাসন করার সুযোগ লাভ করেন।

ক. পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
খ. ‘মাৎস্যন্যায়’ বলতে কী বুঝায়?
গ. আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রামনগর পৌরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে ধর্মপালের কোন কর্মকাণ্ডের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সৌমেন বড়ুয়ার দীর্ঘদিন পৌরশাসন করার পিছনে কাজ করেছে ধর্মপালের আদর্শ ও অনুপ্রেরণা- উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।

৩নং প্রশ্নঃ ধর্মপালের তিনটি বৈশিষ্ট্য
১. প্রতিভা ও রাজনৈতিক জ্ঞানের কারণে ধর্মপাল বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
২. উত্তর ভারতীয় রাজনীতিতে তিনি স্বল্পকালের জন্য হলেও সাফল্য অর্জন করেন।
৩. ধর্মপাল বৌদ্ধধর্মের উদার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

ক. ধর্মপাল কত সালে সিংহাসনে বসেন?
খ. কীভাবে ‘মাৎস্যন্যায়’-এর অবসান হলো?
গ. ছকে উল্লেখিত ধর্মপালের প্রথম বৈশিষ্ট্যটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ধর্মপাল বৌদ্ধধর্মের উদার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন- ছকে উল্লেখিত এ বৈশিষ্ট্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।

৪নং প্রশ্নঃ শিক্ষক আজমল হোসেন পাল বংশের সর্বশেষ সফল শাসক হিসেবে রামপালের ভূমিকা আলোচনা করলেন। পাল সাম্রাজ্যের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে রামপাল কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তা চিহ্নিত করতে তিনি ছাত্রছাত্রীদের নির্দেশ দিলেন। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকের নির্দেশে নিচের তালিকাটি তৈরি করে-
১. বরেন্দ্র উদ্ধারে সচেষ্ট হওয়া।
২. রামাবতী নামে নতুন রাজধানী স্থাপন।
৩. বিনামূল্যে প্রজাসাধারণের খাবারের ব্যবস্থা করা।

ক. প্রাচীন বাংলার প্রথম সার্বভৌম নরপতি কে?
খ. ধর্মপালকে পাল বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা বলা হয় কেন?
গ. ছাত্রদের তালিকাটি রামপালের পদক্ষেপসমূহের সাথে কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সামঞ্জস্য থাকলেও ছাত্রদের তালিকায় রামপালের পদক্ষেপ সমূহের অসম্পূর্ণতা প্রকাশ পায়- বিশ্লেষণ করো।

৫নং প্রশ্নঃ একটি দেশের সরকার তার ‘ক’ নামক সংখ্যালঘু নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীদের নির্বিচারে নির্যাতন ও হত্যা করে দেশত্যাগে বাধ্য করে। তাদের জমিজমা অবৈধভাবে দখল করে নেয়। পত্রিকায় এ কথা পড়ে জামির শিউরে উঠলেন। তার বড় বোন এ ঘটনা শুনে বললেন, ‘এতো দেখছি পুরোই মাৎস্যন্যায়’। জামির মাৎস্যন্যায় কী জানতে চাইলে তার বোন বলেন, ‘পুকুরের বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে ফেলার মতো বিশৃঙ্খল ও অরাজক পরিস্থিতিকে মাৎস্যন্যায় বলে।’

ক. ধর্মপাল মোট কত বছর শাসন করেন?
খ. গুপ্ত সাম্রাজ্য সম্পর্কে ধারণা দাও।
গ. জামিরের বড় বোনের প্রদত্ত উত্তরটি সঠিক কিনা? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মাৎস্যন্যায় পরিস্থিতি সমর্থন কর? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৬নং প্রশ্নঃ দৃশ্য ১: প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়ের বই পড়েনি। এমন পাঠক বিরল। তার বিখ্যাত রচনা আবোল তাবোল’ অসমাপ্ত রেখেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তী সময়ে তার সুযোগ্য পুত্র সত্যজিৎ রায় গ্রন্থটি সমাপ্ত করেন। সত্যজিৎ রায় নিজেও সুসাহিত্যিক ছিলেন।

দৃশ্য ২: রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিন বিশ্বাস। তিনি নিজ ধর্মশিক্ষার জন্য অনেক শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নিজ ধর্মের পাশাপাশি অন্য ধর্মের লোকদের যেন তাদের ধর্ম ঠিকমতো পালন করতে অসুবিধা না হয় তার দিকে লক্ষ রাখতেন।

ক. মহাসামন্ত কী?
খ. শশাংকের মৃত্যুর পর বাংলার রাজনীতি কেমন ছিল? বর্ণনা দাও।
গ. দৃশ্য ১-এ সত্যজিৎ রায়ের কর্মকাণ্ডের সাথে ইতিহাসের কোন রাজার কর্মকাণ্ডের সাদৃশ্য আছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. দৃশ্য ২-এ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ রক্ষায় রবিন বিশ্বাসের ধর্মনীতির সাথে ধর্মপালের ধর্মনীতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করো।

৭নং প্রশ্নঃ তমাল বই পড়ে প্রাচীন এক রাজবংশ সম্পর্কে জানতে পারে, যারা ছিল দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার সবচেয়ে শক্তিশালী রাজবংশ। প্রায় ১৫০ বছর এ বংশ শাসনক্ষমতায় ছিল। কিন্তু একাদশ শতকের শেষভাগে এ বংশের পতন ঘটে এবং একটি নতুন রাজবংশের উদ্ভব ঘটে।

ক. পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
খ. ‘মাৎস্যন্যায়’ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে বাংলার কোন শক্তিশালী ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজবংশ সম্পর্কে বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে তমালের জানা নতুন রাজবংশের উদ্ভব সম্পর্কে বিশ্লেষণমূলক মতামত দাও।

৮নং প্রশ্নঃ শপথ নেওয়ার পরপরই রাজা রাধারমণকান্ত সরকারি কাজকে কতকগুলো বিভাগে ভাগ করেন এবং প্রত্যেক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয় একজন মন্ত্রীকে। অপর রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়। বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য নিয়োগ করা হয় রাষ্ট্রদূত। তার কাজে সাহায্যের জন্য তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। তবে তিনি সামরিক বাহিনী গঠনে মনোযোগী ছিলেন না।

ক. শ্রী শান্তিদেব কোন রাজবংশের রাজা ছিলেন?
খ. শশাংকের সময় উত্তর ভারতের ক্ষমতার দ্বন্দ্বের গতি-প্রকৃতি কেমন ছিল?
গ. উদ্দীপকটি প্রাচীন বাংলার শাসনব্যবস্থার সাথে যে দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সাদৃশ্য থাকলেও উদ্দীপকটিতে প্রাচীন বাংলার শাসন ব্যবস্থার পূর্ণ প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠেনি- বিশ্লেষণ করো।

৯নং প্রশ্নঃ ঘটনা ১: রশীদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদের মৃত্যুর পর তার অঞ্চলে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। বিরাজমান সমস্যা সমাধানে কোনো যোগ্য নেতৃত্ব না থাকায় জোর যার মুল্লুক তার নীতিতে সবাই চলছিল।

ঘটনা ২: বিলাসী গ্রামের লোকেরা তাদের আদি নিবাস ত্যাগ করে দুবলার চরে বসবাস শুরু করে এবং নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে। দুবলার চরে শিক্ষা ও সাহিত্যের উন্নয়নে এরা অনেক অবদান রাখেন।

ক. ভুক্তি কী?
খ. মহাসামন্ত বলতে কাদের বোঝায়?
গ. ঘটনা ১ প্রাচীন বাংলার কোন বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ঘটনা ২-এর কর্মকাণ্ড প্রাচীন বাংলার যে বংশের শাসনকে নির্দেশ করে শিক্ষা ও সাহিত্যের বিকাশে তাদের অবদান মূল্যায়ন করো।

১০নং প্রশ্নঃ সুন্দরবন এলাকায় বাওয়ালি সবুজ ও তার লোকজন মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করত। ইদানিং সবুজদের কাছে এ পেশা লাভজনক না হওয়ায় তারা বিকল্প পেশা খুঁজতে থাকে। টেলিভিশনে প্রচারিত কৃষিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ শাইখ সিরাজের অনুষ্ঠান দেখে তারা উদ্বুদ্ধ হয়। সবুজ ও তার লোকজন বিকল্প পেশা হিসেবে আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ও দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠা করে। অধিক লাভজনক হওয়ায় তারা এটিকেই স্থায়ী পেশা হিসেবে বেছে নেয়।

ক. ‘রামচরিত’ বইটির লেখক কে?
খ. ত্রি-শক্তির সংঘর্ষে ধর্মপাল পরাজিত হলেও তার বিশেষ কোনো ক্ষতি হয়নি কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ. সবুজদের পেশা পরিবর্তনের সাথে প্রাচীন বাংলার কোন রাজবংশের তুলনা করা যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উক্ত রাজবংশের পতনের মধ্য দিয়ে বাংলায় এক নতুন যুগের সূচনা হয়- বিশ্লেষণ করো।

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের সবগুলো অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন আমরা তুলে ধরব। প্রত্যেক অধ্যায় থেকে ১০ টি করে সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর আমরা তুলে ধরব, তোমরা এখান থেকে সংগ্রহ করে নিবে। আজকে আমরা বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ৪র্থ অধ্যায় তুলে ধরেছি। উপরে লক্ষ্য করলে তোমরা ১০টি সৃজনশীল প্রশ্ন দেখতে পাবে, তোমরা এগুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারো।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। আমাদের ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment