বিকাশ লোন কিভাবে নিবো bKash Loan 2023

আমাদের আরও একটি নতুন আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। আমরা আজকে জানাবো বিকাশ লোন কিভাবে নিবো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যসমূহ। যারা বিকাশ লোন নিতে আগ্রহী তারা ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন, আশা করি আপনিও বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন। বিকাশ থেকে লোন নেয়ার উপায় সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো।

আপনার একটি স্মার্ট ফোন আছে অথবা একটি হ্যান্ডসেট আছে কিন্তু বিকাশ নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য। ডিজিটাল সময় এসে সবকিছু ডিজিটাল হবে এটাই স্বাভাবিক, বিকাশ হচ্ছে একটি লেনদেনকৃত কোম্পানি এবং তাদের সাথে হাত মিলিয়ে সিটি ব্যাংক আপনাকে এই লোন পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।

বিকাশ লোন কিভাবে নিবো এমন প্রশ্নে আপনি হয়তো হাবুডুবু খাচ্ছেন আর আজকে সেই প্রশ্নের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। তবে হ্যাঁ, বিকাশ থেকে লোন নেয়ার জন্য অবশ্যই আপনার একটি বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে। শুধু এখানেই শেষ নয়, লোন নেয়ার জন্য আপনার একাউন্ট উপযুক্ত কিনা সেটি বিবেচনা হতে পারে। তবে এই সম্পূর্ণ বিষয়টি আমরা আরও সহজে নিচের দিকে উল্লেখ করছি।

সিটি ব্যাংক সব সময় গ্রাহকদের সুবিধা খুঁজে থাকেন এবং তারা গ্রাহককে সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে থাকেন। গ্রাহকে শুবিয়ে দেয়ার জন্য তারা বিকাশের মাধ্যমে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই মুহূর্তেই ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন দিচ্ছে। যা মাত্র ‘০.৫%’ টাকার সুদ নিচ্ছে।

বিকাশ লোন নেয়ার সুবিধাগুলো

  • ইনস্ট্যান্ট লোন পাবেন বিকাশ থেকে
  • লোনের মেয়াদ ৩ মাস হয়
  • কোন জামানতের প্রয়োজন পড়ে না
  • কোন ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয় না
  • ব্যালেন্স থেকেই কিস্তি পরিষদের সুবিধা
  • ব্যাংক প্রসেসিং ফি মাত্র ০.৫৭৫% (০.৫% + ভ্যাট)
  • বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম

আমি বিকাশ লোন কিভাবে নিবো

হ্যাঁ আপনি যদি একজন বিকাশ ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে সিটি ব্যাংকের এই সুবিধা আপনিও উপভোগ করতে পারেন। ৫০০-২০,০০০ টাকা পর্যন্ত গ্রাহক লোন পেতে পারবে। লোনের এই টাকা গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে জমা হবে। এবং সেখান থেকে তিনি চাইলে টাকা উইথড্রো করতে পারবে যে কোন সময়। সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে পাওয়া এই লোনের টাকা আপনি যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এতে কোন বাধা বিঘ্ন নেই।

বিকাশ লোন কিভাবে নিবো সেই বিষয়ে ইতিমধ্যে আপনি কিছুটা আইডিয়া পেয়েছেন আশা করি এরপরও সম্পূর্ণ বিষয়টি আমরা আরও সুন্দরভাবে তুলে ধরছি। একজন গ্রাহক একবারে একটি লোন উপভোগ করতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী এই লোন অ্যামাউন্টের উপর বাৎসরিক ৯% ইন্টারেস্ট রেট প্রযোজ্য হবে।

মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ এই সুবিধা সিটিব্যাংকের মাধ্যমে তাদের গ্রাহকদের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছে। বিকাশ লোন কিভাবে নিবো এই প্রশ্নের সহজ উত্তর সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছে।

বিকাশ লোন পরিশোধের নিয়ম কি?

আপনি যদি ইতোমধ্যে বিকাশ থেকে লোন পেয়ে থাকেন সেটি অবশ্যই আপনাকে পরিশোধ করতে হবে। বিকাশ লোন কিভাবে নিবো তাইতো মধ্যে আপনি জানতে পেরেছেন তবে লোন পাওয়ার পরে এটি যে পরিশোধ করতে হবে তা আপনি অবশ্যই অবগত আছেন। এখানে কিস্তির পরিমাণ ও পরিষদের তারিখ অবশ্যই দেওয়া থাকবে।

গ্রাহকের একাউন্টে টাকা রয়েছে আর কিস্তির সময় চলে এসেছে এমন সময় কর্তৃপক্ষ অথবা সিস্টেম অটোমেটিক আপনার ব্যালেন্স থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কেটে নেবে। অথবা গ্রাহক চাইলে নির্দিষ্ট দিনের পূর্বেই কিস্তির ধার্যকৃত টাকা পরিশোধ করতে পারে। এক্ষেত্রে ধার্যকৃত ইন্টারেস্ট খরচ অনেকটাই কমে আসবে।

আবার নির্দিষ্ট তারিখে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে যথাযথ পরিমাণ অ্যামাউন্ট না থাকলে নির্দিষ্ট দিনের আগেই অর্থ গ্রাহক কর্তৃক পরিষদ না করা হলে সেক্ষেত্রে বিলম্ব ফি প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে কিছু টাকা বেশি গুনতে হবে। আর এই বিলম্ব ফি ২% বাৎসরিক হতে পারে।

বিকাশ লোন কারা পাবে?

উপরে উল্লেখিত মাধ্যম গুলো যদি আপনি ইতিমধ্যে ফলো করে থাকেন তাহলে হয়তো বুঝতে পারবেন এই লোন আপনার জন্য প্রযোজ্য কিনা। লোন প্রধানের নীতিমালা অনুযায়ী সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের এই লনের সুবিধা উপভোগ করতে দিয়ে থাকে। বিকাশ লোন কিভাবে নিবো তা জানার জন্যই মূলত এই লেখাটুকু দেয়া হয়েছে।

বিকাশ লোন কিভাবে নিবো তার প্রেক্ষাপটে বলতে হয়, আপনি বিকাশের একজন গ্রাহক হিসেবে সিটি ব্যাংক আপনাকে লোন প্রদান করবে কিনা তা জানতে স্মার্ট ফোনে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন এবং দ্রুত লগইন করে ফেলুন। এবার হোমপেজ থেকে “লোন” অপশনে টাইপ করুন।

এবার খেয়াল করলে দেখতে পারবেন আপনার এই বিকাশ একাউন্টে সিটি ব্যাংক লোন প্রোভাইড করবে কিনা তা স্ট্যাটাস দেয়ার মাধ্যমে এখানে দেয়া থাকবে। যদি ইলিগ্যাবল থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে সহজেই লোন নিতে পারবেন। আর যদি ইতোমধ্যে আপনি এই বিকাশ একাউন্ট হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো আপনার জন্য লোন প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

বিকাশ লোন কিভাবে নিবো আশা করি তা জানতে পেরেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। এরপর লঞ্চ সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন। মনে রাখবেন, বিকাশ বাংলাদেশের মানুষকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দ্রুত নিরাপদে ও সহজে টাকা পাঠানো এবং পেমেন্ট সেবা প্রদান করে থাকে।

লোন সংক্রান্ত বিষয়

বিকাশ লোন কিভাবে নিবো তাই তো মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। লোন নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখবেন এটি আপনাকে পরিশোধ করতেই হবে। বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনার ডাটা গুলো সুরক্ষিত রেখে দেয় যদি কখনো প্রয়োজন হয় তখন সেগুলো তারা ব্যবহার করতে পারে। যেমন বিকাশ ওপেন করা হয়েছে সেই ডকুমেন্টসগুলো তারা সংগ্রহ করে রাখেন।

কখনো এমন চিন্তা করবেন না যে বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার পর সেটি পরিশোধ করব না। আপনি লোন পরিশোধ করতে যতটা বিলম্ব করবেন ততটা ইন্টারেস্ট বেড়ে আপনার টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়ে যাবে অনেকটাই। তাই বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার পর সেটা আগামী তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করুন এতে আপনার ইন্টারেস্টের টাকা অনেকটা কম লাগবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী এ টাকা আপনাকে পরিশোধ করতেই হবে। কেননা আপনার সমস্ত ডকুমেন্টস ইতোমধ্যে তাদের নিকট আপনি প্রেরণ করেছেন। যথাযথ তারিখে আপনার একাউন্টে টাকা রাখুন তাহলে বিকাশ অটোমেটিক আপনার একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিবে এবং আপনার লোনের হার কমে আসবে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। আমাদের ফেসবুক পেইজ এ লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment