এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের জন্য এডুকিউ ইতোমধ্যেই পূর্ণাঙ্গ সাজেশন প্রকাশ করেছে। আজ আমরা সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য নবম-দশম বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর “ইতিহাস পরিচিতি” অধ্যায় শেয়ার করতে চলেছি। এই পোস্টে তোমরা তোমাদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষায় কমন উপযোগী সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর সম্পর্কে জানতে পারবে।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা লক্ষ করলে দেখবে আমাদের এখানে কেবলমাত্র সৃজনশীল প্রশ্নগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এবং উত্তর PDF এর মাধ্যমে নিচের দিকে উল্লেখিত রয়েছে। তোমরা এডুকিউ থেকে সবগুলো ফাইল একসাথে ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে। নিজে উল্লেখিত সকল প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করার জন্য এই আর্টিকেল এর সর্বশেষ দিকটি ফলো করো।
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ১ম অধ্যায়
১নং প্রশ্নঃ সারা তার দাদার সাথে মহাস্থানগড় যাদুঘর পরিদর্শনে যায়। সেখানে সে পাল আমলের কিছু পয়সা, পাথরে খোদাই করা লিপি, কিছু সমরাস্ত্র এবং শাসকদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখতে পায়। নাতনীর অগ্রহ দেখে দাদা বললেন, তার সংগ্রহে ঐ আমলের কিছু বইপত্র আছে। সারা ফিরে এসে দাদার কাছ থেকে বইগুলো সংগ্রহ করে আগ্রহ সহকারে পড়া শুরু করে এবং তার ভাইকেও তা পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।
ক. লিখিত ইতিহাসের বয়স কত?
খ. ইতিহাসের বিষয়বস্তু বলতে কী বোঝায়?
গ. সারা মহাস্থানগড় যাদুঘরে ইতিহাসের কোন ধরনের উপাদান দেখতে পেল? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সারার মনোভাব আমাদের ঐতিহ্য রক্ষা ও জাতীয়তাবোধ উন্মেষের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে কি তুমি মনে কর? মতামত দাও।
২নং প্রশ্নঃ বাল্যকাল থেকেই রিপনের দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার শখ। গত বছর রিপন তার সহপাঠীদের নিয়ে শিক্ষা সফরে জাতীয় জাদুঘরে গিয়েছিল। সেখানে তারা বিভিন্ন প্রাচীন নিদর্শন ও ঐতিহাসিক উপাদান দেখতে পেল। জাদুঘর পরিদর্শনকালে রিপনের শিক্ষক বললেন, একটি দেশের ইতিহাস জানার জন্য এসব ঐতিহাসিক উপাদান ও নিদর্শন সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তিনি আরও বললেন, সঠিক ঐতিহাসিক উপাদানের অভাবে বর্তমানে সঠিক ইতিহাস রচিত হচ্ছে না। তাই আমাদের উচিত সঠিক ইতিহাস রচনার জন্য যেসব ঐতিহাসিক উপাদান বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ করা।
ক. ইতিহাস কী?
খ. ইতিহাসের উৎস হিসেবে একটি ঐতিহাসিক উপাদানের বর্ণনা কর।
গ. সঠিক ইতিহাস রচনায় প্রাচীন ঐতিহাসিক উপাদানসমূহ রিপন কীভাবে ব্যবহার করবে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত উপাদানসমূহ সংরক্ষণে করণীয় সম্পর্কে তোমার মতামত দাও।
৩নং প্রশ্নঃ ফারহানা ২০১১ সালে তার পিতার সাথে ঢাকা জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শনে যায়। সে প্রাচীন কিছু তাম্রমুদ্রা, রাজা- বাদশাদের ব্যবহৃত আসবাবপত্র, পুরনো অলঙ্কার, ঢাল-তলোয়ার ও শত বছরের পুরনো একটি ঘাট দেখতে পায়। জিনিসগুলো তাকে যতটা আনন্দ দিয়েছে তার চেয়ে বেশি অতীত সম্পর্কে জানার আগ্রহী করে তুলেছে।
ক. আধুনিক ইতিহাসের জনক কে?
খ. ইতিহাসের বিষয়বস্তুর ব্যাখ্যা দাও।
গ. ফারহানা ইতিহাসের যে ধরনের উপাদান প্রত্যক্ষ করেছে তার ব্যাখ্যা দাও।
ঘ. তুমি কি মনে কর, ফারহানার দেখা জিনিসগুলোর পরিসর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
৪নং প্রশ্নঃ দুই বন্ধুর মধ্যে সুমন বিজ্ঞান আর সোহান মানবিক বিভাগে অধ্যয়ন করে। ক্লাসের সকল সহপাঠী মিলে শিক্ষা সফরে যাচ্ছে। বাসে দুই বন্ধু পাশাপাশি বসে গল্প করার ফাঁকে সুমন বলল, বিজ্ঞান বিভাগে লেখাপড়া করে সে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে দেশের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারবে। কিন্তু সোহান ইতিহাস পড়ে দেশের জন্য কিছু করতে পারবে না বলে মত পোষণ করে। প্রতি উত্তরে সোহান বলল যে, ইতিহাস বিজ্ঞান থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। বিজ্ঞানের ক্রমবিবর্তনের বিজ্ঞানভিত্তিক অনুসন্ধানই হচ্ছে ইতিহাস। যেমন- বিভিন্ন সভ্যতার ইতিহাস বিশ্লেষণে কীভাবে নদ-নদীকে ঘিরে নগর সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল তা জানা যায়। যা মানবজাতির অতীত ঐতিহ্যের সাথে সাথে আজকের অবস্থানের পেছনে কী অবদান রেখেছে তা তুলে ধরে।
ক. Historia শব্দটি কী অর্থে ব্যবহার করা হয়?
খ. সমাজের সাথে সম্পৃক্ত কাল ও স্থানের নিরিখে সংঘটিত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাই ইতিহাস পদবাচ্য- ব্যাখ্যা কর।
গ. সোহান ইতিহাসের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সুমনের নিকট যে দিকগুলো তুলে ধরেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ইতিহাসকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে সোহান যে মতামত ব্যক্ত করেছে তার সাথে তুমি কি একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
৫নং প্রশ্নঃ . নবম শ্রেণির ছাত্র আবেদ সে তার দাদুর সাথে লালবাগের কেল্লা দেখতে যায়। দাদু তাকে সেখানকার বিভিন্ন নিদর্শন দেখিয়ে বলেন, এগুলোর প্রায় সবই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর ইতিহাস রচনার উপাদান সাধারণত দু ভাগে বিভক্ত। যেমন- লিখিত উপাদান ও অলিখিত উপাদান। লিখিত ও অলিখিত উপাদানের সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা সম্ভব।
ক. সাধারণত কোথায় ইতিহাসের উপাদান সংরক্ষিত থাকে?
খ. ইতিহাস বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. ইতিহাসের উপাদানসমূহ আবেদকে কীভাবে সঠিক ইতিহাস রচনায় সহায়তা করতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ, “আজ আত্মপরিচয়ের সংকটের লগ্নে ইতিহাস পাঠ আমাদের জাতীয় দায়িত্ব”- উক্তিটির আলোকে ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন কর।
৬নং প্রশ্নঃ দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা রাজশাহীর বরেন্দ্র জাদুঘরে গিয়ে প্রাচীন আমলের যুদ্ধাস্ত্র, মূর্তি ইত্যাদি দেখল এবং তারা তাদের ইতিহাস শিক্ষককে জিজ্ঞেস করল- এগুলো দেখেই কি ইতিহাস লেখা যাবে বা ইতিহাস পড়ে কোনো উপকার হবে? শিক্ষক বললেন, ইতিহাস লেখার জন্য এ সকল উপাদান প্রয়োজন এবং দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির স্বার্থেই আমাদের ইতিহাস পাঠ করা প্রয়োজন।
ক. ইতিহাসকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
খ. ইতিহাসের পরিসর ব্যাখ্যা কর।
গ. শিক্ষার্থীদের দেখা জিনিসগুলো ইতিহাসের কোন জাতীয় উপাদান ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির স্বার্থেই আমাদের ইতিহাস পাঠ করা প্রয়োজন’- এ বক্তব্যের যথার্থতা নিরূপণ কর।
৭নং প্রশ্নঃ তানিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে তার নানির নিকট থেকে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের কিছু মুদ্রা পেয়েছে। এগুলো সে সংরক্ষণ করছে। তার কিছু প্রাচীন লিপিও রয়েছে। তার নানার কাছ থেকে প্রাচীন কালের কিছু দলিল দস্তাবেজ, সাহিত্য ও নথিপত্র চেয়ে রেখেছে সে। এখন নবম শ্রেণির বই পড়ে তার মনে হচ্ছে তার সংগৃহীত জিনিসপত্রগুলো ইতিহাস রচনায় কাজে লাগবে। তানিয়া মনে করে মানবজীবনে ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব অনেক বেশি। যিশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
ক. হিস্টরিয়া শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?
খ. ইতিহাসকে কেন শিক্ষণীয় দর্শন বলা হয়?
গ. তানিয়ার সংগৃহীত বিষয়গুলো ইতিহাস রচনায় কীভাবে কাজে লাগাতে পারে দেখাও।
ঘ. ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তানিয়ার মত কতটা সঠিক বলে তুমি মনে কর?
৮নং প্রশ্নঃ ঢাকা আইডিয়াল স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক ক্লাসে ছাত্র/ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি আজ ইতিহাসের এমন একজন ঐতিহাসিক সম্পর্কে ধারণা দিব যিনি সর্বপ্রথম হিস্টরিয়া শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি তাঁর গবেষণায় গ্রিস ও পারস্যের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করেছেন। পরবর্তীতে অবশ্য বিভিন্ন ইতিহাসবিদ ইতিহাসকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।”
ক. ‘ইতিহাস’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ কী?
খ. ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা দাও।
গ. শিক্ষক তার আলোচনায় কোন ঐতিহাসিকের ইঙ্গিত দিয়েছেন? ইতিহাসে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শিক্ষকের সর্বশেষ উক্তিটির আলোকে ইতিহাসের সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ কর।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের সবগুলো অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন আমরা তুলে ধরব। প্রত্যেক অধ্যায় থেকে ১০ টি করে সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর আমরা তুলে ধরব, তোমরা এখান থেকে সংগ্রহ করে নিবে। আজকে আমরা বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ১ম অধ্যায় তুলে ধরেছি। উপরে লক্ষ্য করলে তোমরা ০৮টি সৃজনশীল প্রশ্ন দেখতে পাবে, তোমরা এগুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারো।