আজকে আপনাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানাবো ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে। যদি আপনি ঘরে বসে ভিডিও প্লাটফর্ম ইউটিউব এর মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সহযোগিতা করবে। ইউটিউব থেকে আয় করতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি সময় নিয়ে পড়ুন।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় অনেকগুলো থাকলেও আপনাদের সঙ্গে কয়েকটি জনপ্রিয় মাধ্যম শেয়ার করব যেগুলো আপনারা কার্যকরী করে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইনে টাকা আয় করার উপায় গুলো খুজে থাকেন তাহলে এই উপায়টিও আপনাকে অনেক বেশি সহযোগিতা করবে বলে আমরা মনে করি।
লক্ষ্য করে দেখবেন, দেশ-বিদেশে হাজার হাজার ইউটিউবার রয়েছেন যারা ইউটিউব প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ারকে শক্তপোক্তভাবে তৈরি করে নিয়েছে। এমনকি নিজেকে করে নিয়েছে জনপ্রিয়। তাহলে আপনি কেন থেমে থাকবেন? আপনিও শুরু করুন আপনার অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনার ধৈর্য দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করার কাজ।
১. ইউটিউবের কাজে প্রয়োজনীয় কিছু প্রোডাক্ট
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় যদি জানতে চান তাহলে প্রথমেই আপনাকে কাজ করার জন্য কিছু প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে। অবশ্য এই প্রোডাক্টগুলো ক্রয় করার জন্য আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। যেকোনো কাজ শুরুর আগে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ম্যানেজ করে নিতে হয় তবেই কেবলমাত্র কাজ সুন্দর এবং সফল হয়ে থাকে।
ইউটিউবে ভিডিও করার জন্য ভালো মানের স্মার্ট ফোন অথবা (DSLR) উন্নত মানের ক্যামেরা, লাইটিং সেটাপ এবং ভালো ভয়েস রেকর্ডিং করার জন্য উন্নত মানের মাইক্রোফোন সাথে একটি নির্দিষ্ট স্থান (স্টুডিও) থাকা অনেকটা বাধ্যতামূলক। এই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গুলো আপনার নিকট থাকলে নিয়মিত ভিডিও করার আগ্রহটা আপনার মধ্য থেকে চলে আসবে। এই ধরনের প্রোডাক্টগুলো আপনার সেটআপ থাকলে আপনি নিয়মিত রিসার্চ করে ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় গুলোর শুরুর দিকে এই প্রসেস অবলম্বন করতেই হবে। যে কোন কাজ শুরুর প্রথমে আপনাকে প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট অথবা সরঞ্জামগুলো ম্যানেজ করে নিতে হবে। এর ফলে আপনি নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করার আগ্রহ পাবেন। অনলাইনে এমন হাজার হাজার ইউটিউবার রয়েছেন যারা নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করেন আপনাকেও সেই প্রচেষ্টা করতে হবে।
২. ইউনিক কন্টেন্ট রিচার্জ করতে হবে
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো যদি জানতে চান তাহলে কনটেন্ট আইডিয়া সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক। আপনি যদি কন্টেন্ট আইডিয়া না নিয়ে অন্যকে কপি করে তার টপিকে ভিডিও তৈরি করেন তাহলে আপনার ভিডিওটি মানুষ বেশি দেখবে বলে আশা করা যায় না। প্রত্যেকটা প্লাটফর্মে আপনার কম্পিটিটর থাকবেই, এটা মাথায় রেখে আপনাকে ইউনিক কিছু করার চেষ্টা করতে হবে।
ইউনিক কনটেন্ট তৈরি করার জন্য নিয়মিত রিচার্জ করতে হবে। আপনার অডিয়েন্স আপনার থেকে কি ডিজার্ভ করে তা আপনাকে বুঝতে হবে, এবং তার প্রেক্ষাপটে আপনাকে কন্টেন তৈরি করতে হবে। এনালাইসিস করে দেখতে হবে আপনার অডিয়েন্স আপনার ভিডিও গুলো কত সময় দেখে অথবা আপনার ভিডিওগুলো কোন কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ (Search) করে।
নতুন কনটেন্ট আইডিয়া (Content Idea) নেয়ার জন্য গুগলে অসংখ্য টুলস রয়েছে, এই টুলস গুলোর মাধ্যমে আপনি নতুন কনটেন্ট আইডিয়া জেনারেট করতে পারেন। কনটেন্ট গুলো এতটাই ইউনিক হবে যে এই ধরনের কন্টেন্ট অন্য কেউ ইতিমধ্যে প্রকাশ (Published) করেনি। সব সময় আপনার চেষ্টা থাকবে নতুন কিছু তৈরি করার, এবং আপনার নতুন কিছু থেকে আপনার অডিয়েন্সরা উৎসাহিত হবে এবং তারা আপনাকে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।
৩. নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার সিডিউল
শুধু ভিডিও তৈরি করলেন আর আপলোড করলেন তাহলে কিন্তু আপনার অরিয়েন্স আপনার ভিডিও গুলো দেখবেনা। নির্দিষ্ট একটা সময় (Time) নির্বাচন করে রাখতে হবে, এবং প্রত্যেকদিন / সপ্তাহে ওই নির্দিষ্ট সময়ে ভিডিও প্রকাশ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় ভিডিও প্রকাশ করার ফলে আপনার অডিয়েন্স আপনার ভিডিওর জন্য ওই সময়টাতে অপেক্ষা করবেন। অথবা ওই সময় আপনার ভিডিও খুঁজতে থাকবেন।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় যদি আপনার জানতে হয় তাহলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবশ্যই আপনার অবগত হতে হবে। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে যদি অবগত না হন তাহলে হয়তো আপনার ইউটিউবিং (YouTubing) ক্যারিয়ার তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যাবে। আপনার সিডিউল টাইম হতে পারে (সন্ধ্যা ৮:০০ – ৯:০০) পর্যন্ত। মূলত এই টাইমে সবাই মোবাইল ঘাটাঘাটি করে অথবা মোবাইল নিয়ে শুয়ে থাকে।
কেবলমাত্র নির্দিষ্ট একটি সময় নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার সর্বোচ্চ চেষ্টা রাখতে হবে। এবং রেগুলার ভিডিও আপলোড করতেই হবে। ভিডিওর মান বিবেচনায় আপনার অডিয়েন্স আপনাকে ফিডব্যাক দিবে। নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার ফলে আপনি আপনার অডিয়েন্সের নিকট পৌঁছাতে পারবেন। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে এই কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি
Amazon থেকে কিভাবে আয় করা যায়
৭টি জনপ্রিয় অনলাইনে ইনকাম করার সাইট
কিভাবে অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিবো?
৪. ভিডিও এবং অডিও কোয়ালিটি উন্নয়ন
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় জানার পাশাপাশি নিয়মিত ভিডিও তৈরি করলেন টাইম মেনটেন করে ভিডিও আপলোড করলেন কিন্তু আপনার ভিডিওতে ভিউজ ( হচ্ছে না, কেন ভিউজ হচ্ছে না জানেন? কারণ, আপনার ভিডিওগুলো আপনার অডিয়েন্স দেখতে পছন্দ করছে না, কারণ আপনি ভিডিওর কোয়ালিটি (Quality) দিয়ে তাদেরকে খুশি করতে পারছেন না। আর আপনার ভিডিওর কোয়ালিটি এবং অডিও কোয়ালিটি (Audio Qulaty) পছন্দ করছে না। এজন্য তারা আপনার ভিডিওকে ইগনোর করে যাচ্ছে।
ভিডিও এবং অডিও কোয়ালিটির জন্য ভালো মানের ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন রাখার ব্যবস্থা করুন। ভিডিও স্পষ্ট এবং আপনার ভয়েস স্পষ্ট রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার কথাগুলো অডিয়েন্স সহজে বুঝতে পারবে এবং আপনার ভিডিওগুলো আরো ক্লিয়ারলি দেখতে পারবে। ইউটিউবে আপনি (4k) ভিডিও আপলোড করতে পারেন, আপনি চেষ্টা করবেন আপনার ভিডিও রেজুলেশন সর্বোচ্চ মানের দেয়ার জন্য।
আপনার কি ধরনের ভিডিও তৈরি হচ্ছে তার উপর ডিপেন্ড করে আপনার রেজুলেশন। অনেক সময় টিউটোরিয়াল তৈরি করলেন, কিন্তু রেজুলেশন কম রয়েছে তখন আপনার অডিয়েন্স কাঙ্খিত টিউটোরিয়ালে দেখানো বিষয়গুলো সহজে দেখতে পারছে না, ফলে অডিয়েন্স ভিডিওটি ইগনোর (Ignore) করে চলে যাচ্ছে। এজন্য অডিও এবং ভিডিওর কোয়ালিটির দিকে সর্বোচ্চ নজরদারি করতে হবে।
৫. ভিডিও থাম্বলেন মার্কেটিং
আপনি জানেন একটা ভিডিও কখন ভাইরাল (Viral) হয়? যখন ওই ভিডিওতে একটি আকর্ষণীয় থাম্বনেল (Thumbnail) ব্যবহারিত হয়। আপনি চেষ্টা করবেন সুন্দর এবং দেখতে এট্রাক্টিভ মনে হয় এমন একটা থাম্বলেন ব্যবহার করার জন্য। এর ফলে আপনার অডিয়েন্স আপনার ভিডিওতে ক্লিক করতে বাধ্য থাকিবে। দেখবেন, যত পপুলার ইউটিউবার রয়েছেন তারা তাদের থাম্বলেন তৈরির দিকে অনেক বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে যদি আপনি অবগত হন, তাহলে অবশ্যই ভিডিও থাম্বেল তৈরির দিকে আরো বেশি ফোকাস দিতে হবে। এবং একটা থাম্বলেন তৈরি করতে মিনিমাম ৫-৮ ঘন্টা পর্যন্ত সময় ব্যয় করতে হবে। তবে, ভিডিওতে নেই এমন টপিক দিয়ে কখনোই থাম্বনেল তৈরি করবেন না। এর ফলে আপনার ভিডিওতে কমিউনিটি গাইডলাইন অথবা রুলস ভঙ্গের কোন স্টাইক চলে আসবে।
ভিডিওর মধ্যে রয়েছে এমন বিষয়গুলো দিয়েই কেবলমাত্র একটি অ্যাট্রাক্টিভ এবং আকর্ষণীয় থাম্বনেল তৈরি করুন। ইউটিউব ভিডিওর থাম্বনেল সাইজ (১২৮০*৭২০) পিক্সেল। আপনার থাম্নেল ২ মেগাবাইট এর মধ্যে সেভ করুন। সর্বোচ্চ মানের একটি অ্যাট্রাক্টিভ থাম্বলেন তৈরি করুন এবং প্রয়োজনে আপনি অনলাইন থেকে আইডিয়া নিতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই নতুন কিছু এবং ইউনিক কিছু তৈরি করার চেষ্টা থাকতে হবে।
৬. ভিডিও টাইটেল, ডেসক্রিপশন এবং ক্যাটাগরি কেমন হবে?
উপরে উল্লেখিত সবগুলো বিষয় ঠিকঠাক করলেন কিন্তু ভিডিওর টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন এর দিকে একদমই ফোকাস দিলেন না, তাহলে কিন্তু আপনার ভিডিও সঠিক অরিয়েন্সের নিকট পৌঁছাবে না। আপনি আপনার সঠিক অরিয়েন্সের নিকট পৌঁছতে ভিডিওর টাইটেলকে আরও এট্রাক্টিভ এবং সহজভাবে প্রেজেন্ট করবেন। এক্ষেত্রে আপনি ভিডিও টাইটেল এর জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারেন।
আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে খুঁজতে পারেন যে আপনার ভিডিওর টাইটেলটি কোন কিওয়ার্ডে রাখা ভালো। অথবা কোন কিওয়ার্ড ইউটিউবে মানুষ সার্চ করে। ইউটিউবে মানুষ অনেক সার্চ করে এমন একটি কিওয়ার্ড (Keywords) নিয়ে আপনি ভিডিও তৈরি করুন, অথবা আপনার ভিডিও টাইটেলটি তৈরি করুন। একই সাথে ভিডিও ডিসক্রিপশনে (Unknow) অথবা স্পা’মিং কোন লিংক দেয়া যাবে না। ভিডিও টাইটেল এবং ডেসক্রিপশনে ইনফরমেশন লেখা গুলো এড করে দিন।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় পাশাপাশি ক্যাটাগরিকে আরো বেশি প্রধান্য দিতে হবে। আপনি যদি ভিডিও ক্যাটাগরিতে সঠিক ক্যাটাগরি সিলেক্ট না করেন এক্ষেত্রে ক্যাটেগরি ভিত্তিক কেউ সার্চ করলে আপনার ভিডিওটি তার নিকট পৌঁছাবে না। আপনি যদি ব্লগ (Blog) ভিডিও করেন তাহলে প্রত্যেকটা ভিডিওর জন্য আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন। পাশাপাশি ভিডিওতে রিসার্চ করে ট্যাগ (Tag) বসিয়ে দিবেন।
সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি
Amazon থেকে কিভাবে আয় করা যায়
৭টি জনপ্রিয় অনলাইনে ইনকাম করার সাইট
কিভাবে অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিবো?
৭. ইউটিউব মনিটাইজেশন শর্ত
ইউটিউবের মনিটাইজেশন শর্ত হচ্ছে আপনার চ্যানেলে ১,০০০ জন (সাবস্ক্রাইবার) সদস্য থাকতে হবে। এবং লাস্ট ১২ মাসে ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। অর্থাৎ সর্বশেষ এক বছরে আপনার ভিডিওগুলো ৪,০০০ ঘন্টা দেখতে হবে আপনার অডিয়েন্সকে, তাহলেই আপনি আপনার চ্যানেলে মনিটাইজেশন করতে পারবেন।
আপনি চেষ্টা করবেন আপনার ভিডিওগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার, অথবা পপুলার যে প্ল্যাটফর্ম গুলো রয়েছে সেখানে শেয়ার করে ভিডিওগুলোতে বেশি বেশি ওয়াচটাইম এবং ভিউজ আর্ন করার। শুধু মনিটাইজ পেলেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন এমন নয়। পাশাপাশি আপনার চ্যানেলে এক্টিভ অডিয়েন্স থাকতে হবে, এবং আপনার ভিডিওগুলো মানুষ দেখবে এমন প্রচেষ্টা থাকতে হবে।
অতঃপর আপনি গুগল এডসেন্স একাউন্টের মাধ্যমে এপ্লাই করে পেতে পারেন ইউটিউবের পার্টনারশিপ। ইউটিউবের পার্টনারশিপ পাওয়ার ফলে আপনার ভিডিওতে ইউটিউব থেকে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। এবং এই বিজ্ঞাপন গুলোর মাধ্যমে মূলত ইউটিউব আপনাকে ডলার প্রদান করে থাকবে। আর এই ডলারের মাধ্যমেই আপনি ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় জানতে হলে ইউটিউব মনিটাইজেশন (Monetization) শর্ত সম্পর্কে অবগত হতে হবে।
৮. ইউটিউব ভিডিওতে লোকাল স্পন্সর
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ইউটিউবে আপনি যদি বাংলাদেশের অডিয়েন্স টার্গেট করে কাজ করেন তাহলে হয়তো ইউটিউব আপনাকে কাঙ্খিত ডলার প্রোভাইড করবে না। এজন্য আপনাকে লোকাল স্পন্সর নিতে হবে। অর্থাৎ কোন কোম্পানিকে প্রমোট করতে হবে।
কোন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট অথবা তাদের কোম্পানিকে তখনই প্রমোট করতে দিবে আপনাকে, যখন তাদের নির্দিষ্ট অরিয়েন্সের নিকট আপনি তাদের বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার এবং তাদের অডিয়েন্স একই থাকবে। এজন্য আপনার চ্যানেলে পর্যাপ্ত সাবস্ক্রাইবার বাধ্যতামূলক। হতে পারে মিনিমাম (100K Subscribe) থাকতে হবে।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় যদি জানতে চান তাহলে এই বিষয়গুলো আপনাকে ভালো করে নোট করে রাখতে হবে। কোম্পানির প্রোডাক্ট রিভিউ করে আপনি কোম্পানি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে যে টাকা আর্ন করবেন তার উপর অধিক টাকা আপনি লোকাল স্পন্সর থেকে পেয়ে যাবেন, যদি তাদের কাঙ্খিত অরিয়েন্সের নিকট তাদের বিজ্ঞাপন পৌছে দিতে পারেন।
৯. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
আপনার যদি একটি ভালো ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং সেখানে যদি পর্যাপ্ত অর্ডিন্যান্স থাকে তাহলে আপনি এফিলেট মার্কেটিং করেও টাকা আয় করতে পারবেন। ইউটিউব (YouTube) থেকে ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে এফিলেট মার্কেটিং অন্যতম একটি মাধ্যম। যেমন অন্যের প্রোডাক্ট রিভিউ করে সেই প্রোডাক্ট গুলোর বিক্রি বাড়িয়ে আপনি পেতে পারেন নির্দিষ্ট কমিশন।
এটা হতে পারে আমাজন প্রোডাক্ট অথবা বাংলাদেশী বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আপনি এই কমিশন দিয়ে আয় করতে পারেন। এই কমিশন হতে পারে ৫০% পর্যন্ত। একটা প্রোডাক্ট থেকে যদি আপনি ৫০% পান তাহলে এই প্রোডাক্ট ১০০ বার বিক্রি হলে কত টাকা পেতে পারেন ধারণা আছে আপনার?
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় যদি জানতে চান তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন। কেননা এই এফিলেট মার্কেটিং আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে সহযোগিতা করবে। যারা নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করেন তারা ইউটিউব এর পার্টনার প্রোগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে না পারলেও লোকাল স্পন্সর এবং এফিলেট মার্কেটিং করে ঠিকই তাদের কাঙ্খিত ইনকামের স্থানে পৌঁছে যায়। একইভাবে আপনিও আপনার অডিয়েন্স যদি ধরে রাখতে পারেন তাহলে কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছতে বেশি অপেক্ষা করতে হবে না।
১০. ইউটিউব চ্যানেল সিকিউরিটি
ইউটিউব চ্যানেলকে শক্তপোক্তভাবে সিকিউরিটি প্রদান করতে হবে। চ্যানেলকে যদি শক্তপুক্তভাবে সিকিউরিটি না করেন তাহলে হারিয়ে যেতে পারে আপনার পছন্দের চ্যানেলটি। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় যেমন জরুরী তেমনি সিকিউরিটি জরুরী, বর্তমান সময়ে কিছু সংখ্যক অসাধু মানুষ বড় বড় চ্যানেলকে টার্গেট করে তাদের আকাঙ্ক্ষা মিটিয়ে নিচ্ছে। এদের লিস্টে পড়তে না চাইলে অবশ্যই আপনি চ্যানেলকে প্রোটেক্ট (Protect) করুন।
আপনার অডিয়েন্স যেন আপনার থেকে ভুল কোন ইনফরমেশন না পায় সেদিকে নজরদারি করুন। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় জেনে এই বিষয়গুলোতে ভুল করেন তাহলে হবে না। অনেক সময় আপনার চ্যানেল অন্যের কন্ট্রোলে থাকার ফলে সেই ব্যক্তি আপনার অডিয়েন্সকে ভুলভাল ইনফরমেশন অথবা আপনার অডিয়েন্স চাচ্ছেনা এমন কিছু তাদের নিকট পৌঁছে দিচ্ছি, যার ফলে আপনার অডিয়েন্স বিরক্ত হচ্ছেন। অথবা আপনার চ্যানেল অনসাবস্ক্রাইব করে দিচ্ছে।
সর্বোপরি, এ বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখবেন যাতে আপনার চ্যানেল এক্সেস কোনভাবেই অন্যের হাতে না পৌঁছায়। নিয়মিত এনালাইস করবেন। সিকিউরিটির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ প্রধান্য দিবেন, এতে আপনি আপনার কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছতে পারবেন।
সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি
Amazon থেকে কিভাবে আয় করা যায়
৭টি জনপ্রিয় অনলাইনে ইনকাম করার সাইট
কিভাবে অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিবো?
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় নিয়ে শেষ কথা
আপনি যদি ধৈর্য এবং সময় দিয়ে ইউটিউবে লেগে থাকতে পারেন সে ক্ষেত্রে ইউটিউব এর জনপ্রিয়তা আপনাকে টানবেই। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। সঠিক জ্ঞান না থাকার ফলে আপনি ইউটিউবে লম্বা সময় কাজ করেও কিছুই করতে পারবেন না।
সর্বোপরি ধৈর্য দিয়ে ইউটিউবে লেগে থাকুন ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। কয়েকদিন ভিডিও তৈরি করার পরে ঝরে যাবেন না। ধৈর্য থাকতে হবে, ধৈর্য থাকলেই কেবল মাত্র আপনি ইউটিউব থেকে একটা সময়ে এসে আপনার কাঙ্ক্ষিত ইনকামের স্থান পৌঁছাতে পারবেন। ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় জানতে এখানে ক্লিক করুন।